শিরোনাম
Passenger Voice | ১০:৪৩ এএম, ২০২৪-০৩-০৫
স্ত্রীর কাছে মিথ্যা বলে ধরা পড়ার ভয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এক বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। পরে সোমবার কলকাতা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, ওই বাংলাদেশির নাম নজরুল ইসলাম। তিনি স্ত্রীর কাছে মিথ্যা বলে ধরা পড়ার ভয়েই ভুয়া ইমেইল করে দিল্লি বিমানবন্দরের বোমাতঙ্ক ছড়ান। গত ২৭ ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার জেরে তদন্ত করে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে সোমবার কলকাতার নিউমার্কেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করা হয় অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে।
দিল্লি পুলিশ জানায়, নজরুল ইসলাম ভুয়া ইমেইল পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন তিনি এমন মিথ্যা কথা বলে ২০২৩ সালে সোনিয়া নামের ভারতের নয়া দিল্লির এক নারীকে বিয়ে করেন। পাঞ্জাবের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় ওই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় তার। মাস্টার্স শেষে ২০২০ সালে নজরুল বাংলাদেশে ফিরে গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ ছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বিয়েও করেন তারা।
বিয়ের পর থেকে নজরুলের স্ত্রী সোনিয়া তাকে বারবার যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করেন নজরুল। এমনকি স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন দিল্লিতে চলমান কৃষক আন্দোলনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারছেন না তিনি! আটকে পড়েছেন কলকাতায়। এতেই সন্দেহ হয় সোনিয়ার। গত ২৭ তারিখ সোনিয়া তার ভাই অমর দীপ কুমারকে কলকাতায় নজরুলের সত্যতা যাচাই করতে পাঠালে তা আগেভাগেই জেনে যায় নজরুল। শ্যালককে দিল্লি বিমানবন্দরেরই আটকে দিতে দিল্লি থেকে কলকাতাগামী স্পাইসজেটের ফ্লাইটে এক যাত্রী বোমা বহন করছেন বলে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ভুয়া ইমেইল পাঠান নজরুল। আর এতেই বোমাতঙ্ক ছড়ায় বিমানবন্দরজুড়ে।
পুলিশ জানায়, নজরুল কলকাতার নিউমার্কেটের হোটেলটিতে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ছিলেন। স্ত্রীকে মিথ্যা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে লুকিয়ে থাকতেই কলকাতায় থাকেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত নজরুলের পাসপোর্ট, ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্যা/ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.